আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
দিরাই প্রতিনিধি :: গত ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামে ৫ বছরের শিশু তুহিনকে রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে তার কান ও লিঙ্গ কেটে, দুটি ছুরি তার পেটে ঢুকিয়ে পরে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর দুই মাস পর ফের দিরাইয়ে সোহাগ মিয়া (১০) নামের এক শিশুর লাশ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার বেলা ১টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়।
সোহাগ দিরাই পৌরসভার শুকুরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র। সে মজলিশপুর গ্রামে বসবাসরত রুকেনা বেগমের ছেলে। তার বাবা মৃত খোকন মিয়া। তাদের পৈত্রিক নিবাস শাল্লা উপজেলার শশারকান্দা গ্রামে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে হেলিপেড মাঠে খেলতে যায় সোহাগ। সন্ধা হলেও বাড়ি ফিরেনি সে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে শনিবার এ বিষয়ে দিরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সোহাগের মা। আজ রবিবার বেলা ১টার দিকে নিহতের স্বজনরা বাড়িতে খড়কুটো রাখার বারান্দাঘর থেকে দুর্গন্ধ আসলে দরজা খুলে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শিশু সোহাগের লাশ ঝুলছে। পরে খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা না আত্মহত্যা কিছুই বলা যচ্ছে না।
এদিকে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পংকজ পুরকায়স্থ অমর বলেন, এলাকাবাসী বিশ্বাস করতে পারছেনা শান্ত প্রকৃতির শিশুটা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৮ ডিসেম্বর ২০১৯/হিল্লোল/আরআই-কে