আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
মাধবপুর প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর পৌরসভা গঠনের ২৩ বছর চললেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। দুর্গন্ধে দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে পৌরবাসী।
আবর্জনা ফেলা হচ্ছে রাস্তার পাশে যত্র তত্র খোলা জায়গায়।
বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর পৌরসভার কর্মকর্তারা রয়েছেন নীরব ভূমিকায়।
করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মহাসঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশও সএ সঙ্কট থেকে মুক্ত নয়। বিপদজনক এ সংক্রমক রোগ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতার বিকল্প নেই। মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধ ও রোগ জীবানুমুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার সক্রিয় ভূমিকা দেখাতে পারছে কি মাধবপুর পৌর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষ কোন স্থানে ডাস্টবিন নির্মাণ করেনি, ডাস্টবিন না নির্মাণ করায় পৌরবাসী যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে, সেগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনা উপচে পড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। দুর্গন্ধে পথচারীরা নাক-মুখ চেপে চলাচল করছেন। নয়টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ময়লার স্তুপ সরানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বললেই চলে পৌর কর্তৃপক্ষের।
পৌরশহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা-আর্বজনা এনে স্তুপ করে ফেলা হয় মাধবপুর নাসিরনগর রোড কাটিয়ারার গাবতলীত নামক স্থান সিএনজি স্টান্ডের সামনে ময়লা ফেলা হয়। ময়লা আবর্জনার স্তুপ করে ফেলার কারণে মশার উপদ্রবের পাশাপাশি বাতাসে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে নাকাল পৌরবাসী।
অন্যদিকে স্তুপকৃত ময়লা পোড়ানোর সৃষ্ট ধোঁয়ার ফলে শিশুরা মারাত্মক শ্বাসকষ্টের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ভোর ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার করে। কিন্তু ঘন্টা না যেতেই রাস্তাজুড়ে ফেলা হয় স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব বর্জ্য অপসারনের দাবি জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। স্থানীয় জনগণ এ নিয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। মাধবপুর পৌরবাসীর প্রশ্ন এটা কি পৌরসভা নাকি জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স সহ বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স নেওয়ার অফিস? এসব মন্বতব্য করেছেন পৌরবাসীরা।
এ বিষয়ে মাধবপুর পৌর মেয়র হিরেন্দ্র লালা সাহা জানান, করোনা প্রতিরোধে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানোর কাজ চলছে প্রতিদিন তাছাড়া আমাদের হাতে অন্য কার্যক্রম নেই।
মাধবপুর পৌরসভা এখনো কোন ডাস্টবিন স্থাপন করা সম্ভব হয়নি, কারণ বিভিন্ন সময় স্থাপন করতে চেয়েছি কাউন্সিলরদের সাথে এক মত হয়ে জায়গা নির্ধান করা হলেও এলাকার কেউ জায়গাতে দিতে রাজি হয়নি।
তিনি আরও জানান মাধবপুর পৌরসভার বর্জ্য ডাম্পিং ব্যবস্থার জৈব সার উৎপাদনের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করা হবে ও আমরা অনুদান পেলেই সাথে সাথে জায়গা নির্ধারণ করে দ্রুত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ এপ্রিল ২০২০/এসসি/এসডি