আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নূরুল হক আফিন্দী।
বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেনের বাসায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল হক আফিন্দী অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ১৩টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের মনোনীত এজেন্টদের বের করে নৌকার সিল মেরে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোটের বাক্স ভর্তি করেন। উপজেলার ভিমখালী কেন্দ্রে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোট গণনা না করে বাক্স উপজেলা সদরে নিয়ে এসে নৌকায় সিল মারা হয়। লম্বাবাঁক কেন্দ্রে ১০টি বই বাইরে নিয়ে সিল মারেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
তিনি আরো বলেন, বিকাল ৩টার পর থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনেক কেন্দ্র দখল করে নৌকায় জাল ভোট দেন। এছাড়া, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যের স্বামীর নেতৃত্বে ফেনারবাঁক কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারা হয়। ভোটের দিন এসব অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও তারা কোন প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভোটের ফলাফল প্রত্যাখান করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেন, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান বাবলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, ফেনারবাঁক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জামালগঞ্জে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদের মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হওয়ার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উপ-নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ৩৭ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন প্রয়াত ইউসুফ আল আল আজাদের ছেলে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইকবাল আল আজাদ। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির নূরুল হক আফিন্দী পান ১৬ হাজার ৮৯০ ভোট।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২২ অক্টোবর ২০২০/শহীদ/জুনেদ