আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বাবা, এরপর যা ঘটল...

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-১৮ ০০:৫১:২২

গত সেপ্টেম্বরে মা হয়েছিলেন ২০ বছরের কেটি পাডল। তার সন্তানরা বাবা, স্টিফেন পাডল, ঘটনাচক্রে তার নিজের বাবাও বটে। জন্মের কয়েক বছর পর থেকেই কেটি থাকতেন তার দত্তক বাবা অ্যান্থনি ফাসকোর সাথে নিউয়র্কের উইংডেলে। আর স্টিফেন বসবাস করতেন নাইটডেলে।

বাবা-মেয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকায় আগেই পুলিশের খাতায় নাম উঠেছিল স্টিফেন ও কেটির। ২০১৭ সালের শুরুতেই, কেটির মা, অর্থাৎ তার স্ত্রীকে স্টিফেন জানান তার আর কেটির সম্পর্কের কথা। সেই সাথে এও বলেন যে, মায়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করার পরেই মেয়ে কেটিকে বিয়ে করবেন স্টিফেন।

উল্লেখ্য, কেটির পরে স্টিফেনের আরও দুই সন্তান হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম 'ফক্সনিউজ.কম'-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি তার ওই দুই সন্তানকে স্টিফেন বলেছিলেন কেটিকে দিদি নয়, মা হিসেবে দেখতে।
 
অবৈধ এই সম্পর্কের ফলে, স্টিফেনকে রীতিমতো বন্ডে সই করতে হয় যে, তিনি আর কেটির সাথে কোনও রকম যোগাযোগ রাখবেন না।

কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। ১৮ বছর হওয়ার পরে, কেটি নিজেই তার 'বায়োলজিকাল' মা-বাবার সাথে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এবং তারপরেই গণ্ডগোলের শুরু। গত বুধবার, স্টিফেনের মা হঠাৎই একটি ফোন পান ছেলের কাছ থেকে। স্টিফেন তাকে বলেন যে, তিনি তার সাত মাসের ছেলেকে মেরে ফেলেছেন।

দ্রুত পুলিশে খবর দেন স্টিফেনের মা। উইংডেলে স্টিফেনের বাড়িতেই পাওয়া যায় শিশুর দেহটি। এর পরে কানেক্টিকাট থেকে খবর পেয়ে, সেখানেও পুলিশ উপস্থিত হলে, একটি ট্রাকের ভিতর থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে।

জানা গেছে দেহ দুটি, কেটি ও তার দত্তক বাবা অ্যান্থনি ফাসকোর। কিছু দূরে, নিউইয়র্কের ডোভারে, একটি মিনি ভ্যানের ভেতরে পাওয়া যায় স্টিফেনের দেহও। তিনজনকে হত্যা করার পরে নিজেই নিজেকে তিনি গুলি করেন বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। তবে, কারণ এখনও জানা যায়নি।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন