আজ মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ইং
আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আগমনী বার্তা অনুমান করত মানুষ। ডয়চে ভেলে বাংলার এক লেখায় গুমোট আবহাওয়া, মেঘ কিংবা সাগর ও নদীর মোহনায় পানিবৃদ্ধি দেখে ঘূর্ণিঝড় আসছে বলে ধরে নেওয়া হতো বলে জানানো হয়েছে।
তবে এখন সাহায্য নেওয়া হয় আধুনিক প্রযুক্তির। বিশেষ করে ১৯৬০-এর দশকে এ কাজে কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) ব্যবহার শুরু হলে আসে বড় পরিবর্তন। এর সঙ্গে রাডার, বিমান, কম্পিউটার ইত্যাদির সাহায্যে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান, প্রবলতা, আকার কিংবা গঠন সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
কোনো স্যাটেলাইট পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোনো স্থানের ঠিক ওপরে থেকে সেই অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করলে সেটাকে জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট বলা হয়। এমন অনেকগুলো স্যাটেলাইট আছে। সেগুলো থেকে যেমন দৃশ্যমান ছবি পাঠানো হয়, তেমনই ইনফ্রারেড ছবিও পাঠায়।
ঘূর্ণিঝড় গঠন সম্পর্কে ধারণা পেতে ইনফ্রারেড তরঙ্গের তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর স্যাটেলাইটের ছবি কেবল ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানই জানায় না, প্রবলতা সম্পর্কেও তথ্য দেয়। কারণ, কিছু মেঘের প্যাটার্ন দেখে বাতাসের গতি সম্পর্কে ধারণা পান আবহাওয়াবিদেরা।
স্যাটেলাইটের ছবি থেকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সাধারণ তথ্য পাওয়া গেলেও বিস্তারিত জানতে হয় সরাসরি। আর এ কাজে পাঠানো হয় বিমান। বিশেষ করে সঠিক বিপৎসংকেত জানানোর জন্য এই তথ্য প্রয়োজন। তবে উত্তর আমেরিকায় কোনো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে—এমন তথ্য থাকলেই কেবল গবেষণা বিমান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দেশগুলোর জন্য তা বেশ ব্যয়বহুল। এরপর সংগৃহীত তথ্য কম্পিউটারে বিশ্লেষণ করে দেওয়া হয় পূর্বাভাস। সে অনুযায়ী বিপৎসংকেত জারি করা হয়।
সূত্র: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-৫