আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

নবীগঞ্জে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-২৪ ১৯:০৪:০৭

নবীগঞ্জ সংবাদদাতা :: নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া নামের এক ব্যক্তি ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নাম করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগিরা তাকে হন্য হয়েও খুঁজে পাচ্ছেন না। যারা তার কাছে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন, তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

প্রতারনার শিকার নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়েনের পানিউমদা গ্রামের শিপন আহমদ বলেন, ‘জিয়া আমাকে কানাডা পাঠানোর কথা বলে ১২ লক্ষ টাকার চুক্তি করে। প্রথমে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয় এবং বাকি টাকা ভিসা লাগানোর পরে দেয়া হবে বলে চুক্তি হয়। কিন্তু আজ প্রায় এক বছর হয়ে গেল। আমার পাসপোর্টও নেই ভিসাও নেই, টাকাও নেই। ফোন দিলে ফোনও রিসিভ করে না। আমি তার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বেড়াচ্ছি। তার আত্মীয়স্বজনের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েও কোন পথ খুঁজে পাচ্ছি না।’

একই উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ভরচর গ্রামের রামিম আহমদ বলেন, ‘আমি কানাডা যাওয়ার জন্য জিয়ার মাধ্যমে ১২ লক্ষ টাকায় চুক্তি করি। প্রথমে জিয়াকে ১ লক্ষ টাকা দেই। বাকি টাকা ভিসা হওয়ার পরে দেব। এ জন্য জিয়া আমাকে ঢাকায় নিয়ে বেশ কিছু দিন রেখেছে এবং আমার অনেক টাকা খরচ করেছে। সে ভুয়া কাগজ দিয়ে ভিসা প্রসেসিং করে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। ৮ মাস হয়ে গেল আমার টাকা ও ভিসা কিছুই পাইনি। তার কোন খোঁজখবরও আমি পাচ্ছি না।’

শায়েস্তাগঞ্জ এলাকার ইকবাল আহমদ বলেন, ‘জিয়ার সাথে আমি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে প্রথমে চেক রিপাবলিক যাওয়ার জন্য নগদ ১ লক্ষ টাকা দেই। কিছু দিন যাওয়ার পর জিয়া জানায় চেক রিপাবলিক যাওয়া যাবে না। এখন সমস্যা আছে। তখন আমি তাকে আমার টাকা ফেরত দিয়ে দাও। তখন সে জানায় পোল্যান্ডে যাওয়ার ভাল সুযোগ সুবিধা আছে। তখন আমি তার কথায় রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু আজ প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হল আমার ভিসার কোন খবর নেই। পাসপোর্ট ও টাকাও নেই। তার সাথে যোগাযোগও করতে পারছি না।’

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার বাবলু আহমদ বলেন, ‘জিয়া আমাকে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমেরিকা পাঠানোর কথা বলে প্রথমে আমার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেয়। আজ ৭ মাস মাস অতিবাহিত হল আমার ভিসা, পাসপোর্ট, টাকা কিছুই পাইনি। টাকার কথা বললে সে মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখায়, হুমকি ধামকি দেয়। আমি তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিচার প্রার্থী হয়েও কোন সদুত্তর পাইনি।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান জিয়ার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত (ভারপ্রাপ্ত) ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোন জানা নেই। তবে অভিযোগ ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/প্রেবি/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন