আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

অভিবাদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-১৩ ০১:১২:৪২

অহী আলম রেজা :: অভিবাদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিনন্দন আপনার সরকারকে। আপনার মন্ত্রী পরিষদকে। ‘যতদিন আপনার হাতে ততদিন পথ হারাবেনা বাংলাদেশ’। শান্তি, শিক্ষা, অর্থনীতি, সম্প্রীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আজ বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। যা সম্ভব হয়েছে আপনার দূরদর্শিতা ও দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কারণে। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আপনি ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছেন।

আপনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে শিক্ষক সমাজ আজ উল্লসিত। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত একমাত্র আপনার দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। চিরদিন শিক্ষক সমাজ আপনাকে স্মরণ করবে। এ ধরনের উদ্যোগ একমাত্র আপনিই বাস্তবায়ন করতে পারেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাবিস্তারে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণ করেছিলেন তিনি। ওই সময় বেশকিছু স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ করেছিলেন। সেই থেকেই অগ্রযাত্রার শুরু।

আপনি ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে একসাথে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাজার হাজার শিক্ষক এমপিও ভুক্তির আওতায় এসেছেন। শিক্ষাবিস্তারে আপনার উদ্যোগ শুধু দেশেই নয় সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

আপনার সরকারের এ আমলেই সারাদেশে ১৭ হাজার ১৯৬ টি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান করা হচ্ছে। ৮টি পাবলিক ব্শ্বিবিদ্যালয় স্থাপন ও ৪২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পাঠদানের অনুমোদন আপনিই দিয়েছেন। ৩ হাজার ৫৫০টি আইটি ল্যাব ও ২৬ হাজার ৬৫৫ টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আপনার সরকারই মাধ্যমিকে আইসিটি বাধ্যতামূলক করেছে। ২ কোটি ৫৬ লাখ ১ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার ৬ শত কোটি টাকা উপবৃত্তি ও মেধাবৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত কেবল আপনিই নিতে পারেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথমবারের মত ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ১৮ হাজার ১০৮ টি ব্রেইন বই বিতরণ করা হয়েছে। প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের স্ব স্ব ৫টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় বই প্রণয়ন ও বিতরণ করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা মায়েদের কাছে প্রদান করা হচ্ছে।

২০১৪ সালে নারী ও শিশু শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো আপনাকে ‘শান্তিবৃক্ষ পদক’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য আইএনইএসসিও কালচারাল ডাইভারসিটি পদকে ভূষিত করে।

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৯৯৯ সালের ২০ অক্টোবর ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের স্বীকৃতিস্বরূপ এফএও কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ লাভ করেছেন আপনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা এগিয়ে যাচ্ছে। অবধারিতভাবে দেশ এগিয়ে যাবেই।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন