আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

অন্যের মর্যাদাহানির অপচেষ্টা কতখানি পেশাদার?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-০২ ০০:৩৫:৫৩

উপস্থাপনা নিয়ে আমার বড় কাওকে জ্ঞান দিতে যাব, এত বড় দুঃসাহস আমার নাই ভাই। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে (মঞ্চ শো, করপোরেট ইভেন্টস, কনসার্ট, টিভি লাইভ ও প্রোগ্রাম) আমরা যারা এই কাজটি অত্যন্ত পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা এবং ধৈর্য্য এর সাথে করে চলেছি, তারা জানি কতখানি অভিজ্ঞতা, শব্দচয়ন, শব্দের সঠিক প্রয়োগ, বাক্য গঠন, বাক্যের উদ্দেশ্য- বিধেয় নিয়ে ভেবে তারপর আমরা কাজটি কত যত্ন সহকারে করার চেষ্টা করে থাকি।

আপনি যখন হোস্ট/প্রেজেন্টার, তখন আপনার অতিথি বা আর যার সম্পর্কেই কথা বলছেন না কেন আপানার তো কোন অধিকার নেই তাকে অসম্মান করে কথা বলার, অথবা এমন কোন শব্দ ব্যবহার করা যা একটি জাতীয় টিভি চ্যানেলে অন এয়ার হওয়া কতটা শোভন বা সমীচীন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

এক্ষেত্রে , 'মজা' আর 'অপমান'... এর পার্থক্য বোঝার দায়িত্ব একজন উপস্থাপকের পাশাপাশি প্রোগ্রাম প্রডিউসারের উপরও বর্তায়। একজন প্রডিউসার পুরো প্রোগ্রামের দায়ভার বহন করেন। খালি ৫.৪.৩.২.১.০... অ্যাকশন... বলাই প্রডিউসারের এর এক মাত্র কাজ না ভাই। যত মহান প্রেজেন্টার'ই হোক, কন্ট্রোল তো প্রডিউসার ভাই আপনার হাতে, নাকি তাও নাই? আর ব্রিলিয়ান্ট অ্যাংকরিং হয় যখন, তখন কিন্তু এই আপনাকেই বাহ্ বা দিতে পিছ্পা হই না আমরা।

তাই বলে, 'ফান' শো বলে অন্যের মর্যাদাহানি করে নিজেদের শো'এর কাটতি (জনপ্রিয়তা বলে দাবি) কামানোর অপচেষ্টা কতখানি পেশাদার বা সম্মানের আওতায় পড়ে?

কী নিয়ে মজাটা করছেন ভাই? সত্যি মিথ্যা পুরোটা না জেনে, অন্যের ব্যাপারে যথেচ্ছাচার শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়ে খুব হাসি তামাশা, না ভাই!

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন