আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
লিনু ফারজানা :: দৃষ্টিনন্দন ও সুসজ্জিত খাবার ঘরের নাম ‘কারাগার’। এই নামকরণ আমার গাত্রে খালি দহন না আঙ্গুলেরও চুলকানি তুলেছে।
চৌদ্দ শিকের ভেতর ফসকা দেওয়া ফাঁসির দড়ির সামনে বসে আহ্লাদে গদগদ হয়ে নানা বয়সী মানুষের খাদ্য ভক্ষণের বিগলিত ছবি ফেসবুকে শোভা পাচ্ছে ধুমসে। খাবারের দৃষ্টিনন্দন মেনু ও গুণগত মান নিয়েও রয়েছে নানা চটকদার তথ্য।
বিষয়টা নিয়ে হালকা আলোচনা করতে গিয়ে জানা হলো ঢাকা শহরে একটা অত্যাধুনিক খাবার দোকানের নাম ‘আমি জেল থেকে বলছি’। সেই রেস্তোরাঁর ওয়েটার, পাচকদের গেট আপ আবার কারারক্ষীদের মতো। কঠিন মুখের কারারক্ষীর সামনে বসে খাবার আমার গলা দিয়ে নামবে না আটকে যাবে, ভাবছি সিরিয়াসলি।
রান্নাবান্না ও খাওয়া একটা শিল্প। আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিতে খাওয়া একটা ইবাদতও বটে। আর কারাগার হলো অপরাধীকে শাস্তি প্রদানের জায়গা। সেই কঠিন জায়গায় ইবাদত বা শিল্পচর্চার সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে আমি সন্দিহান।
এই দিকে শৈল্পিক নামের যে পরিমাণ আকাল পড়ছে ভয় হয় অদূর ভবিষ্যতে খাবার ঘরের নাম হবে ‘আমি জেল থেকে হাগছি’ কিংবা ‘বাথরুম থেকে বলছি’।
সেই হাগাহাগির রেস্টুরেন্টের প্লেট গ্লাসের ডিজাইন কেমন হবে তা ভেবে আমার হৃদকম্প শুরু হয়েছে আপাতত।
তাই এই বিষয়ে আলোচনা এইখানেই সমাপ্ত। আর মাগনা খাওয়াইলেও কারাগারে বসে খাওয়ার কোন সদিচ্ছা আমার নেই।
লেখক : শিক্ষিকা ও গল্পকার