আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আশার বাতিঘর এস. এম. জাকির হোসাইন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-১৭ ২২:১৯:৫৭

আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে একজন মুজিব আদর্শের কর্মী মনে করি। কেননা আমার বিশ্বাসই আমার শক্তি। আমার অন্তর্নিহিত বিশ্বাস হলো, ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই রাষ্ট্রে রাজনীতিবিদ অনেকেই হতে পারেন, তবে নেতা ছিলেন কেবল একজনই। যার আঙ্গুলি হেলনে আমরা এক মোহনায় মিলিত হয়ে সৃষ্টি করেছি ইতিহাস। তিনি বাঙালির কাছে বঙ্গবন্ধু, ফিদেল কাস্ত্রের কাছে হিমালয়, আর আমার কাছে রাজনীতির মহাকবি, ইতিহাসের রাখাল রাজা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি কেবলমাত্র একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে যাননি, দিয়ে গেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার মতো একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, শেখ রেহানার মতো একজন মমতাময়ী বোন এবং স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নের আন্দোলনের অগ্নিশিখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

স্বাধীনতা পরবর্তী স্বাধীন বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে দ্যর্থহীন কন্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন-‌‌‌‌‌‌‌‌‌'ছাত্রলীগের ইতিহাসই বাঙালির ইতিহাস।' আর যুগে যুগে এই ছাত্রলীগই সময়ের প্রয়োজনে জন্ম দিয়েছে কালের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি সেই ইতিহাসে যাব না, কেননা তাদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন আমার মত ক্ষুদে কর্মীর কলমে যথার্থ হবে কি না সন্দেহ।

আমার আজকের লেখার বিষয় এমন একজন সংগঠককে ঘিরে যিনি মেধাবীদের মেধাবী, সুন্দরের চেয়েও সুদর্শন, একজন আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুপ্রেমী, ছাত্রলীগের দীর্ঘ ইতিহাসের সবচেয়ে সজ্জন সাধারণ সম্পাদক, এই প্রজন্মের কাছে যিনি আলোকবর্তিকা, হতাশাগ্রস্ত বহুদা বিভক্ত ছাত্র আন্দোলনের আশার বাতিঘর। তিনি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা'র বাবা আব্দুল জলিলের ঔরসজাত এবং মা আমিনা বেগমের কোল আলো করে জন্ম নেয়া এস. এম. জাকির হোসাইন।

যার সহপাঠীরা ভাবতেও পারেনি সহজ-সরল এই মেধাবী ছেলেটি একদিন পুরো বাংলাদেশ মাতাবে। যাকে ঘিরে দীর্ঘ ৩০ বছরের বন্ধাত্ব ঘুচিয়ে সিলেটবাসী ফিরে পাবে নতুন আশার বাতি। যার স্বাক্ষরও তিনি রেখেছেন তার ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বেই। তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে ছিল মেধাবীদের জয়ধ্বনি। এযাবৎ জাতীয় দুর্যোগ বন্যা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদদের ছাত্রলীগের উদ্যোগে ত্রাণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, এমনকি অসহায় পরিবারের মেধাবী সন্তানদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করে আনতে তিনি যে সাংগঠনিক সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন তা বলাই বাহুল্য।

শুধু তাই নয়, বিবাহিতদের ছাত্ররাজনীতি থেকে অপসারণ করা এবং ছাত্রলীগের ইতিহাস মানুষের কাছে আরও জোরালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য তিনি গত বছর বইমেলায় "আন্দোলন-সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ" শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেন যা বিগত বইমেলায় সর্বাধিক বিক্রিত বই। ক্লাসের সবচাইতে মেধাবী ছাত্রটি ছাত্রলীগ করবে বলে যে উক্তি তিনি করেছেন তার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রেখে প্রত্যেকটি কমিটিতে সব থেকে মেধাবীদের মূল্যায়ন করেছেন। এমনকি পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে একসাথে দেশের প্রতিটি প্রান্তে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সকল বিপদসংকুল রাস্তা থেকে আগলে রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সাথে।

পরিশেষে, এস. এম. জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমার পাওয়া না পাওয়া, সুখ-দুঃখ, বেদনার পাল্লা কখনো হালকা কিংবা ভারী কোনটাই হয়নি। কেননা আমি মননে এস.এম. জাকির হোসাইনকে ধারণ করি। যিনি আমাদের দিতে শিখিয়েছেন, নিতে নয়।

*লেখক: এ. এম. ফারহান সাদিক
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।
সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট জেলা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন