আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
-শাকির আহমদ
-শাকির আহমদ
অসহায় নির্মলা, বিচারের হাতছানীতে দূর পানে চেয়ে রয়
চোখে তাঁর দুঃস্বপ্ন, ভেঁসে উঠে এক অসহায় নারীর সতিত্ব হরণের চিত্র,
চোখে অগ্নি জল, এলামেলো চুলে শরীর কাঁপে থর থর থর,
ভারী নিঃশ্বাসে ফুলে-ফেপে উঠে বুক, ধমনী বাজে ধক ধক ধক।
তাঁর অজানা নয়, বিচারকের বিবেক আজ আধিপত্যের কাছে জিম্মি।
তবুও সে বিচার চায়, মানুষরুপী শকুনদের শাস্তি চায় নির্মলা,
কাঠগড়ায় দাড়িয়ে বলতে গিয়ে সে টের পেলো,
তাঁর গলা বসে গেছে, চোখের জলে সব ঝাপসা দেখছে,
হাত-পা নাড়াতে পারছে না, হঠাৎ চিৎপঠাং।
চিকিৎসা নিয়ে আবারো সে উপস্থিত সেই বিচারকের দ্বারে,
এবার সে বর্ণনা দিতে লাগলো, সেই লোমহর্ষক ঘটনার,
হঠাৎ খেয়াল করলো,
তাঁর করুণ কাহিনী উপস্থিতির কাছে উপহাসের ন্যায় খণ্ডিত।
বিচারক তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিলেন, অতঃপর...
সেখানে আধিপত্যের প্রকাশ্য নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ,
বিবেক সেখানে মিথ্যার মোড়কে লুণ্ঠিত, নিষ্পেষিত।
যেমন ভেবেছিলো নির্মলা, তার থেকেও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা এখন তাঁর ঝুলিতে।
শারীরিক ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে এখন সে প্রতিনিয়ত হচ্ছে মানসিক ধর্ষণ।
ঘর থেকে বের হলেই শকুনদের চোখে-মুখে দেখে নির্লজ্জ লোলুপ দৃষ্টি,
ঘরের ভিতরে স্বজনের অবহেলা, অবজ্ঞায় আজ সে অবলিলায় পরিত্যক্ত।
তবে কি পৃথিবীর মায়া তাকে আজ ছেড়ে চলে যাচ্ছে?
কি করবে নির্মলা, ভেবে তো কিছুই খুঁজে পাচ্ছে না।
নিজেকে আত্মহুতি দিলে শকুনদের রোষানল থেকে স্বজনরা রক্ষা পাবে না,
তাইতো, নির্মলা দরজার দ্বারে দাড়িয়ে দূর পানে চেয়ে থাকে শেষের আশায়...
*লেখক: সাংবাদিক।