আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

রামকৃষ্ণ সরকার: একুশ শতকের চন্দ্রকুমার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১০-০৩ ২১:৩৬:২০



|| পার্থ তালুকদার ||

মৈমনসিংহ গীতিকা (১৯২৩) এবং পূর্ববঙ্গ-গীতিকা (১৯২৩-১৯৩২) এর প্রসঙ্গ উঠলেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯) এর নামের পর যে নামটি বেশি গুরুত্বসহকারে ও সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয় তা হলো চন্দ্রকুমার দে (১৮৮৯-১৯৪৬)। একজন চন্দ্রকুমার দে শত বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে পালাগানগুলো সংগ্রহ না করলে একটা ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ হয়ে উঠতো কি-না তা নিয়ে সন্দেহ করার অবকাশ রয়েছে। তাই তাদের উভয়ের কাছেই আমাদের কৃতজ্ঞতার কমতি নেই।

সেই সময়ে ভাটি অঞ্চলের রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা মানুষের প্রতিকূলে থাকলেও তাদের মনে ছিল উৎফুল্লতা। মানুষ ছিল গানপাগল। রাতের পর রাত মানুষ শীতের কুয়াশাচ্ছন্নতার মধ্যে সামিয়ানা টাঙিয়ে গান গেয়ে, গান শুনে কাটিয়ে দিয়েছে। লোকগানের প্রতি ছিল তাদের আমৃত্যু ভালোবাসা। ছিল হৃদয়পূর্ণ আবেগ-প্রেম। কিন্তু বর্তমানে এসব গানের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমছে বৈ বাড়ছে না। তবে এখনও লোকগানপ্রেমিকের সংখ্যা যে একেবারেই নগণ্য তাও কিন্তু নয়। এখনও কিছু শিকড়সন্ধানী মানুষ আমাদের হারিয়ে যাওয়া এমন অমূল্য সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখার মানসে চন্দ্রকুমার দে’র মতো প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন রামকৃষ্ণ সরকার। তিনি বিলুপ্তপ্রায় লোকসংগীত সংগ্রাহক ও গানপাগল মানুষ হিসাবে অনেকের কাছেই এখন সুপরিচিত। তাঁর সাথে কথা বলে জানা গেল চন্দ্রকুমার দে নাকি অদৃশ্যভাবে তাকে গান সংগ্রহের কাজে উদ্বুদ্ধ করছেন।

রামকৃষ্ণ সরকারের জন্ম মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের রুস্তুমপুর গ্রামে, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জানুয়ারি। তাঁর পিতার নাম তরণী সরকার মাতার নাম মানদা সরকার। তাঁর মা-বাবা দুজনই ছিলেন গানের অনুরাগী। বাবা তরণী সরকার দোতারা-সারিন্দা বাজিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কীর্তন ও বাউল গান গাইতেন। তাঁর মায়েরও ছিল সুরেল কন্ঠ। ধামাইল গানের প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ দুর্বলতা। তাই তিনি যখন দেখলেন রামকৃষ্ণ সরকার ছোটবেলা থেকেই লোকধারার গান সংগ্রহ করছেন তখন তিনি প্রত্যক্ষভাবে তাকে গান সংগ্রহের কাজে সমর্থন দেন। কিন্তু কৃষক পরিবারের বড় ছেলে হওয়ার উপলক্ষ্যে ধীরে ধীরে তাঁর উপর সংসারে দায়িত্ব বর্তাবে- সেটাই স্বাভাবিক; এবং হলোও তাই। দরিদ্রতাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্থানীয় আছিদ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করে পাঠ চুকিয়ে দিতে বাধ্য হন। তখন থেকেই সংসারের ঘানি টানতে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেন। বিভিন্ন দোকানে সামান্য মাসিক বেতনে তিনি চাকুরি করতে থাকেন। এভাবে প্রায় পনের বছর তিনি চাকুরি করেছেন। বর্তমানে রামকৃষ্ণ সরকার স্থানীয় একটি বেসরকারি কলেজে অফিস সহায়ক হিসাবে কর্মরত আছেন। তাঁর তিন মেয়ে; সুমি, রুমি এবং ঝুমি। তারা তিনজনই যেমন লোকধারার গান পছন্দ করে ঠিক তেমনি বাবাকে গান সংগ্রহের কাজেও সহায়তা করছে।

রামকৃষ্ণ সরকারের বয়স যখন দশ-বারো বছর তখন মায়ের সাথে বিয়ে, অধিবাস, পূজা-পার্বণ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বায়না ধরতেন। এসব অনুষ্ঠানে তিনি মগ্ন হয়ে গান শুনতেন। যখন গায়িকারা প্রায় প্রতিটা গানের ভণিতাতে ‘ভাইবে রাধারমণ বলে’ বলে টান দিতেন তখন তাঁর কাছে মনে হতো এই শব্দ তিনটা সকল গানে জুড়ে দেওয়াই যেন ধামাইলগানের নির্দিষ্ট কোনো রীতি। তাই তিনি বাড়িতে এসে আনমনে সকল গানের সাথেই ‘ভাইবে রাধারমণ বলে’ শব্দ তিনটি যুক্ত করতেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিষয়টা তাঁর কাছে পরিষ্কার হয়। তিনি বুঝতে পারেন এই ‘ভাইবে রাধারমণ বলে’ বলতে একজন গীতিকারের নাম উল্লেখ করা হয়। এভাবেই ‘রাধারমণ দত্ত’ নামের সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে।

বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানে যাওয়ার ফলে তিনি খেয়াল করলেন একই গান বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন সুরে, ভিন্ন তালে, ভিন্ন কথায়, এমনকি গীতিকারের নাম পরিবর্তন করে গাওয়া হচ্ছে। তখন বিষয়টা তাঁর কাছে খটকা লাগে। তিনি নিজেকে প্রশ্ন করলেন, এ কেমন করে সম্ভব ? রামকৃষ্ণ সরকার বলেন, ‘যখন মায়ের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতাম তখন খেয়াল করলাম একই গান বিভিন্ন সুরে গীত হচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন গীতিকারের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি ভাবলাম এর একটা সমাধান করা দরকার। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম গান সংগ্রহের। এভাবে কখন যে আমি গান সংগ্রহের প্রেমে পড়ে যাই সেদিকে আর হুশ থাকে না’।

সেই ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে রামকৃষ্ণ সরকার যখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন তখন থেকেই তিনি গান সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। তিনি যেখানেই যান সেখান থেকেই সুযোগ করে গান সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক ধামাইল গান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর সংগৃহীত সব গানই তিনি নিজ হাতে খাতায় লিখে রাখেন। তিনি অধর চাঁন, গোলক চাঁন, দীন ভবানন্দ, লবচরণ, সুচিত্রা, রাধারমণ দত্ত, মুহিন্দ্র গোঁসাই, কাশীনাথ তালুকদার, সূর্যমণি, প্রতাপরঞ্জন তালুকদার সহ আরো অনেক সাধক-গীতিকারের গান সংগ্রহ করেছেন। এই গান সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি সিলেট বিভাগের প্রতিটা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ছুটে বেড়িয়েছেন।

সিলেট অঞ্চল মরমিসাধক-চারণকবিদের উর্ভর ভূমি হিসাবে আবহমান থেকেই সুপরিচিত। এই অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছেন সাধক রাধারমণ দত্ত, মরমি কবি হাছন রাজা, শিতলং শাহ, দুর্বিন শাহ, আরকুম শাহ, শাহ আবদুল করিমসহ আরো অনেক সাধক পুরুষ। তাঁদের সৃষ্ট পদ-গীত অত্র অঞ্চল তথা বিশ্বের গানপাগল মানুষের কাছে প্রাণসঞ্চারী হিসাবে বিবেচ্য। তবে তাদের সৃষ্ট অনেক পদ বা গানের কলি অনেকক্ষেত্রে অবহেলার কারণে, সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে অথবা একজন পদকর্তার গানের পদ অন্য একজন মহাজনের গানের সাথে যুক্ত হয়েছে, এমনকি অনেকক্ষেত্রে বিলুপ্তও হয়ে গেছে। আবার গানের সুর পরিবর্তন করে যে যার মতো সুর বসাচ্ছে। ফলে এসব পদকর্তার নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বা স্বকীয়তা খুঁজে পাওয়া দুরুহ হয়ে ওঠে। রামকৃষ্ণ সরকার এই বিষয়গুলো অনুধাবন করে মূলত গান সংগ্রহের এই কঠিন কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন।

বিলুপ্তপ্রায় ধামাইল গান সংগ্রহ করে শিকড় সন্ধানী রামকৃষ্ণ সরকারের মনে হলো এই গানগুলো ছাপার অক্ষরে বইয়ের পাতায় বাঁধাই করে রাখলে কেমন হয়। ভাবনাটা মাথায় আসার সাথে সাথে তাঁর সামর্থ্যরে মাত্রাটাও চিন্তায় এলো। তবুও জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাঁর স্বপ্নের কথা জেনে এগিয়ে এলেন শিক্ষিকা সীমা ভট্টাচার্য্য। তিনি বই প্রকাশের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে তুলে নেন। তাঁর সহযোগীতায় তিনি সংগৃহীত ধামাইল গান নিয়ে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেটি ধামাইল গীত নামে একটি গানের সংকলন প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থে সিলেট অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় ২২৫টি ধামাইল গান স্থান পায়। লোকসংস্কৃতি গবেষকদের কাছে এই বইটি আকর গ্রন্থ হিসাবে বিবেচ্য।

রামকৃষ্ণ সরকারকে নিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল এককভাবে অনুষ্ঠান প্রচার করেছে। তিনি এসব অনুষ্ঠানে দেশের লোকজসংস্কৃতির হালহকিকত এবং তাঁর ভবিষ্যত ভাবনা নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বেসরকারী টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজ এর বার্তা প্রধান মুন্নী সাহা রামকৃষ্ণ সরকারকে নিয়ে ‘এই বাংলায়’ নামে একটি ডকুমেন্টারি তৈরী করেন। বদরুদ্দোজা শ্রাবন বৈচিত্রে বাংলাদেশ নামে তাকে নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ একটি ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন। তাকে নিয়ে সহজমানুষ নামে প্রামাণ্য চিত্র তৈরি করেন লিপন সিংহ টিপু। বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাচের অনুষ্ঠান ‘তারানা’তে অতিথি হিসাবে রামকৃষ্ণ সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। উক্ত অনুষ্ঠানটি নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা ও শিবলী মোহাম্মদ উপস্থাপনা করেন। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কর্তৃক তাঁর জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের অপেক্ষায়। তাছাড়া দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সমকাল সহ দেশের প্রায় সকল জাতীয় পত্রিকায় তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। রামকৃষ্ণ সরকার বলেন,‘আমি মিডিয়াকর্মীদের কাছে বিশেষভাবে ঋণী। তাদের জন্য আজ অনেকেই আমাকে চিনতে পারছে। তাঁরা উৎসাহ দেন বলেই হৃদয় থেকে লোকসংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার তাগিদ অনুভব করি’। লোকসংস্কৃতি গবেষক প্রফেসর নন্দলাল শর্মা, কবি নৃপেন্দ্র লাল দাস, গবেষক মাহফুজুর রহমান সহ দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ তাকে সহযোগীতা করছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন। তাদের মতামত নিয়ে কাজ করছেন। বিশেষকরে শিক্ষক জহর তরফতার তাকে সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনা এবং সাহস যোগান; তাই তাঁর কাছে রামকৃষ্ণ সরকার আজীবন কৃতজ্ঞ।

তবে প্রথমদিকে এই গান সংগ্রহ করাটা যে তাঁর জন্য খুব সুখকর ছিল, তা কিন্তু নয়। শুধু অর্থকষ্ট নয়, শারীরিক পরিশ্রম নয়, তাকে মানসিকভাবেও ঠাট্টা-মশকরা সহ্য করতে হয়েছে। তবে এসবে তিনি কান দেননি। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ এমন সংস্কৃতি তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

ধামাইল গানপাগল রামকৃষ্ণ সরকার তাঁর গ্রামের বোন-ভাতিজীদের নিয়ে ১৪১২ বাংলার ১ল বৈশাখ নবনাগরী ধামাইল সংগঠন নামে একটা ধামাইল গানের দল গড়ে তুলেন। তিনি নিজেই তাদেরকে হস্তচালনা, পদচালনা, কন্ঠচালনা ও শরীরচালনা এই চারের সমন্বয়ে কিভাবে নির্ভুলভাবে ধামাইল গান পরিবেশন করা যায় তার নির্দেশনা দিতে থাকেন। এরই মাঝে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধামাইল গান পরিবেশনের জন্য তাদের ডাক আসে। তিনি সদলবলে গান পরিবেশনের জন্য বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং পূজা-পার্র্বণে উপস্থিত হন। এভাবে কয়েক বছর তাঁর বাড়ির উঠোনে ধামাইল গানের প্রশিক্ষণ ও তালিম দেন রামকৃষ্ণ সরকার। পরবর্তীতে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর বাড়িতেই ধামাইল গানের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের জন্য ধামাইল একাডেমি নামে একটা স্কুল চালু করেন। এই স্কুলে বর্তমানে ৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা কুড়িয়ে পাওয়া গানে সুর বসান, চর্চা করেন। এই কয়েক বছরের মধ্যে তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর দল নিয়ে ধামাইল নৃত্যগীত পরিবেশন করে নাম কুড়িয়েছেন। বিশেষকরে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত সিলেটে ১২ দিনব্যাপী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার দর্শকের সামনে তাঁর দল যখন ধামাইল গান পরিবেশন করে তখন তাঁর বুকের ভেতরটা গর্বে ফুলে ওঠে। পরবর্তিতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গলে তিন দিনব্যাপী ধামাইল প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রামকৃষ্ণ সরকারকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

রামকৃষ্ণ সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখি, তাঁর প্রিয় গান কোনটি ? একটু ভেবে তিনি বলেন, “আমার মরমি ধারার গান খুব ভালো লাগে। বিচ্ছেদ, রাগ-অনুরাগ, খেদ এই ধারার গানগুলো আমার হৃদয়ে দাগ কাটে। বিশেষ করে রাধারমণ দত্তের ‘আমার বন্ধু দয়াময়, তোমারে দেখিবার মনে লয়’ গানটি সবসময় গুনগুনিয়ে গেয়ে থাকি।” কথা প্রসঙ্গে জানা গেল তিনি বেশ কয়েকটি ধামাইল গানও লিখেছেন। গানগুলোর সুরও করেছেন তিনি নিজেই।

রামকৃষ্ণ সরকার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে হেঁটে চলছেন অজানা-গন্তব্যহীন পথে। এই পথের শেষ বিন্দু কোথায় গিয়ে ক্ষান্ত হবে তা তাঁর জানা নেই। তবে এটুকু তাঁর বিশ্বাস, তিনি এই মায়াময় পৃথিবীকে বিদায় জানালেও তাঁর সংগ্রহের এমন মধুমাখা লোকজধারার গান মাথা উচু করে বছরের পর বছর টিকে থাকবে এবং নতুন প্রজন্ম স্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া আমাদের চারণ কবিদের নাম যুগযুগ ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। বর্তমানে অর্থাকষ্টে জীবনযাপন করা রামকৃষ্ণ সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হোক, তাঁর পথচলা সুগম হোক- এটাই প্রত্যাাশা।

লেখক: ব্যাংক কর্মকর্তা ও লোকগবেষক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন